বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জাল নোট চক্রে মার্কিন ডলার ছাপা হত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন সিআইডি-র দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
তারা বাড়ির পরিচারিকা মমতা খাতুন সহ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গত কয়েকদিন ধরেই বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে জাল নোট পাওয়া যাচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে খোঁজ পায় খাগড়াগড়ের কাছে মাঠপাড়ার ওই জাল নোটের কারখানার। সেখানেই এক এবং দশ মার্কিন ডলারের জাল নোট ছাপার ডাইস পাওয়া গেছে বলে পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে। পুলিশের কাছে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে মানবাধিকারের কাজ করার জন্য ওই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে জাল নোট চাপার বিষয়টি সামনে আসতেই কার্যত অবাক। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা দীপঙ্কর চক্রবর্তী। বাকি দুই ধৃত গোপাল সিংহ এবং বিপুল সরকার বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে ১২হাজার ৫০০টাকার জাল নোট এবং নোট তৈরির ডাইস, পাউডার, রাসায়নিক উদ্ধার করে হয়েছে। ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমান আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুজিত কুমার বন্দোপাধ্যায় ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।