যখন শরীরের টিস্যুতে তরল পদার্থ জমা হয় তখন জায়গাটি ফুলে যায়। একে বলে ইডিমা।
ইডিমা শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে। তবে এটি সাধারণত পায়ের গোড়ালি এবং পায়ে দেখা যায়।দুই ধরনের ইডিমা রয়েছে। পিটিং এবং নন-পিটিং। শরীরের যেখানে ফুলে গেছে সেখানে চাপ প্রয়োগের ফলে ত্বকে যখন একটি গর্ত সৃষ্টি হয় তখন থাকে পিটিং ইডিমা বলে।এবং চাপ প্রয়োগে গর্তের সৃষ্টি হয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে গেলে তখন তাকে নন-পিটিং ইডিমা বলে।এখন প্রশ্ন হলো,ইডিমা কেন হয়?ইডিমার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।কিডনি, হার্ট বা লিভারের সমস্যা হলে এটা হতে পারে।যখন শিরা হার্টে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে না পারে তখন এই সমস্যা হতে পারে।ফলে পায়ে তরল জমা হয়।গর্ভাবস্থাও ইডিমা দেখা দিতে পারে।গর্ভাবস্থায় এটি একটি সাধারণ সমস্যা।কারণ শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে মায়ের পেলভিস এবং পেটের উপর চাপ পড়ে এর ফলে পায়ে জল আসতে পারে।এ ছাড়া কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস এর কারণে শরীরে জল আসতে পারে।সেইসাথে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা এবং উচ্চ-সোডিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে ইডিমা।লক্ষণ হতে পারে,ত্বক ফোলা, প্রসারিত এবং চকচকে দেখানো।ত্বকে চাপ প্রয়োগ করলে তা কয়েক সেকেন্ড এর জন্য গর্ত হয়ে যায়।গোড়ালি, মুখ বা চোখের ফোলাভাব,শরীরের অংশ এবং শক্ত জয়েন্টগুলোতে ব্যথা থাকে,ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাস পাওয়া।প্রস্রাব কম হওয়া।সাধারণতঃ শারীরিক পরীক্ষা এবং রোগীর চিকিৎসা ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ইডিমা নির্ণয় করা হয়।রক্ত পরীক্ষা করেও বের করা হয়।সেক্ষেত্রে,যা করতে পারেন,তা হলো,লবণ খাওয়া কমানো, ওজন বেশি হলে ওজন কমানো। নিয়মিত ব্যায়াম করা ইডিমার ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। যদি রক্ত চলাচল বন্ধ বা পা ফুলে গেলে পা উঁচু করে রাখেতে পারেন। খুব বেশি সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে না থাকা উচিত। অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে যাওয়া উচিত,খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।