কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত মামলায় ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এনআইএ।
বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন, সন্ত্রাসে আর্থিক সাহায্যের অপরাধে আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর আইনজীবী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত বুধবার ইয়াসিন মালিককে দুটি পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এনআইএ আদালত।একই সঙ্গে তাঁর ১০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেছেন, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে অস্ত্র ছেড়েছেন। তারপর থেকে মহাত্মা গান্ধীর প্রদর্শিত পথেই চলেছেন। এরপর থেকে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। তাই আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও তাঁর আপত্তি নেই। ১০ মে ইউপিএ-এর অধীনে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ইয়াসিন মালিক। ১৯ মে ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। এদিকে, ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণার আগে থেকেই শ্রীনগরে বন্ধের পরিবেশ ছিল। তবে কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ইয়াসিন মালিকের সমর্থকরা। বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ দোকান। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী।