বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় কোম্পানির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।
আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।নিয়ম অনুযায়ী আদালতে উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।পরে বিচারক বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন নির্দিষ্ট করেছেন।উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ১ জানুয়ারি ইউনূসসহ চারজনকে ছ’ মাসের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল আদালতে আপিল করেছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস।এদিকে তিনি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।বাংলাদেশের সরকারের দিকে ইংগিত করে ইউনূস বলেছেন, তিনি রোষের শিকার।অভিযোগ গঠনের পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, মানি লন্ডারিং, আত্মসাৎ, প্রতারণা এ জিনিসগুলোর সাথে তিনি কোনোদিন যুক্ত আছেন কিনা জানেন না। করেন নি কোনোদিন।কাজেই হঠাৎ করে প্রকাণ্ড এই শব্দ তাঁর উপর আরোপ করা হচ্ছে।অন্যদিকে, বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ওই অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে দুদক। মামলার বাকি আসামিরাও গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারী।