শোবিজে জনপ্রিয় মুখ শ্বেতা তিওয়ারি। কাসৌটি জিন্দেগি কি’খ্যাত শ্বেতা টেলিভিশনের সর্বাধিক পরিচিত একজন।
নব্বইয়ের দশকে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এখনো সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা। তবে ইদানীং টেলিভিশনের পর্দায় খুব একটা দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় শ্বেতা।৪৩ বছর বয়সেও শ্বেতার গ্ল্যামার তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই।এখনো তিনি অনেক ফ্যানের ক্রাশ,তবে হাজারও ফ্যানের মনের রানি হলেও বর্তমানে একাকী জীবন যাপন করছেন সুন্দরী অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি।ব্যক্তিজীবনে দু’-দু’বার বিবাহবিচ্ছেদের শিকার হয়ে এখন তিনি সন্তানদের নিয়েই রয়েছেন ব্যস্ত।এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি শ্বেতা।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্বেতা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অন্য ধর্মে বিয়ে করার জন্য তাঁর মা তাঁকে রীতিমতো তুলোধুনা করেছিলেন।প্রথম স্বামী রাজার বিরুদ্ধে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে ৯ বছর সময় লেগেছিল শ্বেতার। প্রথম স্বামী তাঁকে নিয়মিত মারধর করতেন।শ্যুটিং সেটে গিয়েও অশান্তি করতেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী।এরপর ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীর সঙ্গে ১৯৯৮ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন শ্বেতা। ২০০৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। শারীরিক নির্যাতন ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই ডিভোর্সের মামলা করেন শ্বেতা। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে শ্বেতা বলেছেন, তাঁর আগে পরিবারে কেউ কোনো দিন প্রেম করে বিয়ে করেনি।ভিন্ন জাতে বিয়ে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে সমস্যা ছিল। তবু লাভ ম্যারেজই করেছিলেন। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। শ্বেতার মাকে অনেক কথা শুনতে হয়। শ্বেতা যদি তখন ডিভোর্সের মামলা করতে যেতেন বিষয়টা অন্য রকম হয়ে যেত। তা ছাড়া তখন শ্বেতা আর্থিকভাবেও সেভাবে সচ্ছল ছিলেন না। তবে এর চেয়েও যেটা বেশি ছিল সেটা হলো আবেগ।শ্বেতা আরো বলেছেন, তিনি মেয়ের জন্য খুব চিন্তিত ছিলেন। বড় হয়ে বাবার পরিচয় না পেলে সমাজ আবার নানা কথা বলবে। কিন্তু পরে একটা সময় মনে হলো, মানসিক শান্তি না থাকলে সুখী হওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতি সন্তানের জন্যও ভালো নয়। তার থেকে দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়।